অভিনন্দন আমার ওয়েবসাইট এ ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন অনুভূতি নতুন পর্ব

অনুভূতি নতুন পর্ব

#ছোট_ছেলে

#পর্ব_০৪

#Writer:- #ztd_Trisha 


রিনা কিছু বললো না আমায়,  শুধু বললো আমার সাথে কোনো যোগাযোগ রাখতে চায় না!


প্রথম দিকে ওকে ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট হতো,  আস্তে আস্তে আমি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি!  নিজেকে বুঝিয়েছি পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ হয় না,  সব চেয়ে কাছের ফ্রেন্ডটা ও একদিন বলে বসে,  "কি করেছিস তুই আমার জন্য?"

যার জন্য আপনি দিনের পর দিন স্যাক্রিফাইস করবেন, সে -ই বলবে, " কোনো কাজে তোর হেল্প পাই নি "


তিথি কথা গুলো বলতে বলতে এক সময় তার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো,,  হয়তো প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে!


প্রত্যয় যে সব কঠিন কথা গুলো বলবে বলে ঠিক করে রেখেছিল,  সে গুলো বলার আর সাহস পেলো  না..!


তিথি গলা ঝেরে বললো,  প্রত্যয় বাবু আমাকে বিয়ে করবেন তো? 


কত সহজ ভাবে বলে ফেললো তিথি,

কিন্তু বিয়ে করা কী এতোটাও  সহজ কিছু? 


তিথি প্রত্যয় এর উত্তরের অপেক্ষা না করে,  আবার বললো,,

আপনার সব কাগজ পত্র এনেছেন তো?


প্রত্যয় অন্যমনস্ক ছিল,।   ভুল করে হ্যা সূচক মাথা নেড়ে ফেললো প্রত্যয়,,!

সঙ্গে সঙ্গে তিথির মুখে তৃপ্তির হাসি ফোটে  উঠলো!

প্রত্যয় জিভ কেটে বললো,  "না মানে ভার্সিটিতে ভর্তি হবো তো,  তাই নিয়ে এসেছি।  কিন্তু কাল যা হলো,  ভর্তি হতে পারবো বলে মনে হয় না! "


তিথি বললো, ভর্তি হতে পারবেন, আমি বাবার সাথে কথা বলবো!


প্রত্যয় এর আত্মমর্যাদা এতে বাঁধা দিলো,,!  তাই সে সরাসরি তিথিকে বলে দিল,

"কোনো দরকার নেই, আমি নিজেই ভর্তি হতে পারবো! " 


তিথি আর এই বিষয়ে কিছু বললো না,,।


উকিল সাহেব গাড়ি করে ভার্সিটিতে এলেন, 

তিথিকে দেখতে পেয়ে ওর কাছেই এলেন তিনি!


উকিল সাহেব মাত্রাতিরিক্ত পান খান,!  আর কথার মাঝে "আরে কী মুশকিল " কথাটি বেশি ব্যবহার করেন!  মোটা ফ্রেমের কালো চশমা পরেন!  ভদ্রলোক যথেষ্ট বুদ্ধিমান!


তিথি সৌজন্যতা দেখিয়ে,  উকিল সাহেবকে বললো  

"কেমন আছেন আংকেল?"


উকিল আংকেল হাসি দিয়ে বললেন,  "আরে কী মুশকিল,  ভালো না থাকলে কি এখানে আসতে পারতাম?"


তিথি যেন, নিজের করা প্রশ্নের জন্য লজ্জিত বোধ করলো!


প্রত্যয় মিট মিট করে হাসছে, তিথির অবস্থা দেখে ।


উকিল আংকেল তিথিকে বললেন, "তা তোমার বাবা কোথায়? "


তিথি যেন লটারি জিতেছে, এমন অনুভূতি হলো  তার!

ঝট করে উত্তর দিলো,  " বাবা তো প্রিন্সিপাল রুমেই আছেন কল করে জানালেন আপনাকে, আমি তখন বাবার পাশেই ছিলাম! "


উকিল আংকেল বোকা বনে গেলেন একদম,   মেয়েটাকে যতটা শান্ত শিষ্ট ভেবেছিলাম ততটা নয়!  প্রত্যয় বেশ মজা পাচ্ছে দুজনের কান্ড দেখে,,!


তিথির বাবা অর্থাৎ প্রিন্সিপাল স্যার এর রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি, তিথি আর উকিল আংকেল ।

রুমের দেওয়ালে সাইনবোর্ড লাগানো আছে,  তাতে ইংরেজীতে লেখা :-  " প্রিন্সিপাল রুম"

তার নিচে লেখা,   "অধ্যক্ষ তপন চৌধুরী  "


অর্থাৎ তিথির বাবার নাম তপন চৌধুরী।


স্যার হাতের কাজটা সেরে আমাদের কে ভেতরে আসতে বললেন,,!

অফিসিয়ালি সকল নিয়ম নীতি মেনে আমার আর তিথির কোর্ট ম্যারেজ হলো,,!


তিথির জন্য মনের কোথাও যেন একটা টান অনুভূত হচ্ছে আমার,,। তাছাড়াও আমার মনে হচ্ছে তিথি খুব কষ্টে আছে,  আর রিনা মেয়েটা তিথির ক্ষতি করতে চাচ্ছে!  সব কিছু আমার জানতে হবে!  অন্তত আমি চেষ্টা করবো তিথিকে একটা সুস্থ্য সুন্দর জীবন উপহার দিতে,,,!  কিন্তু বার বার আমার আর্থিক দুর্বলতার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে,,। আমি কি পারবো তিথিকে ভালো রাখতে?

অবশ্য এখুনি তিথিকে ঘরে তুলতে হবে না,  আমার পড়া শেষ করে চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত তিথি তার বাবার বাড়িতে-ই থাকবে!


#চলবে?


(আমি ক্ষমা প্রার্থী সকলের নিকট,  কেননা আপনাদের চাহিদামতো আমি পর্বের আকৃতি বড়ো  করতে পারছি না,!  তাহলে আপনাদেরকে অনেক বেশি অপেক্ষা করতে হবে,,  ছোট পর্ব দিলে এতো বেশি অপেক্ষা করতে হবে না, একদিন পর পর পর্ব  দিতে পারবো,  আপনাদের কোনটা হলে ভালো হয় জানাবেন!  ধন্যবাদ, ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন! )

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন