#গোধুলি_আভা
#২য়_পর্ব
আমি ঠিক আমার হিসাব মিলাতে পারলাম না
এটা কি দেখলাম!
সেই মোড়ল বাড়ির পূজা
হাতে জবা ফুল নিয়ে দাড়িয়ে আছে
অপলক চাহনি তার
দেহ থেকে মাথাটা আলাদা।
কুঁকড়া চুল গুলো তার এলোমেলো
চাঁদের আলোতে মুখটা জ্বল জ্বল করছে।
আহ কি মায়াবী চেহারা।
যেন সদ্যজাত নবজাতক শিশু।
পরনে সাদা শাড়ি।গ্রামের মেয়েদের মত শাড়ি পড়া।
চোখের কাজলটা লেপটে গেছে।
চন্দন কাঠের ঘ্রাণ।
গলা থেকে টগবগীয় রক্ত ছিটকে পড়ছে।
একদিকে তার রুপে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে অন্যদিকে তার রক্তাক্ত দেহ।
শরীরে অজানা অনুভূতির শীহরণ জাগলো।
এত মায়াবী মেয়ে তার এমন অবস্থা কেন।
এসব ভাবতে ভাবতে পূজা বলল
ও দিদি ফুল নিবে গো।
আহ এত সুন্দর কন্ঠ।
তার কথাতে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না।
বুক টা ধর ধর করছে।
তার প্রশ্নে কাপা কন্ঠে উত্তর দিলাম।
না আমি ফুল চাই না।
তখন মনে মনে ভাবলাম এটা মনে হয় সপ্ন দেখছি।
কিন্তু না আমি তো ঘুমাই নি তাহলে এটা কেমন সপ্ন?
মেয়েটা হেসে বলল
ও দিদি কি ভাবো গো
ওর কথা এত মিষ্টি
ভয়ে বুক কাপছে তাও মনে হচ্ছিলো ওর কথা শুনি
কি হলো বুজলাম না।
চোখ খুলে নিজেকে আবিষ্কার করলাম বিছানায়।
রাতের কথাটা আর মাথায় আসলো না।
মনের ভুল ভেবে পাশ কাটালাম।
গ্রামে সবাই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে।
আমি দেখলাম ফাকা রুম। মনে হয় বড়,চাচার মেয়ে রুমে নেই।
এদিকে ওদিকে চোখ বুলিয়েও কাউকে পেলাম না।
উঠে পরলাম বিছানা থেকে।
বিছানায় নিজের ফোনটা খুজে হাতে নিলাম।
হায় হায় ১১টা বেজে গেছে!
রুম থেকে তড়িঘড়ি করে বের হলাম।
ওমা একি কান্ড পুরোটা বাড়ি ফাকা।
আমাকে রেখে গেলো কই সবাই?
হাটতে হাটতে বাড়ির পিছনে পুকুর পাড়ে দেখি সবাই মাছ ধরছে।
বেশ ভালো লাগলো বিষয়টা।
ছোট ছোট ছেলে মেয়ে কি সুন্দর মাছ ধরছে।
আমারো ইচ্ছে হলো আমিও মাছ ধরে পানিতে নেমে।
কিন্তু উপায় নাই।
আমি আকামের ঢেকি।
সাতার জানি না।
ডুবে গেলে তখন কি হবে।
না বাবা থাক দাড়িয়ে দেখি সেটায় ভালো।
এই সময় আমার ডাক পড়লো।
চাচি বললেন
ও আভা নাস্তা করে নেও রান্না ঘরে নাস্তা।
কত ডাকলাম তো তোমায়।
তুমি তো উঠলেই না।
চাচি:এই সামিহা আভার নাস্তাটা দিয়ে আয় তো(সামিহা আমার বড় চাচার মেয়)
চাচির কথা মতো রান্না ঘরে ডুকলাম ২জন।
মাটিতে সুন্দর শীতল পাটি।
নিচে বসলাম।
সামিহা আমাকে পিঠা আর পায়েশ দিলো
আহ কি স্বাদ গ্রামের পায়েশের।
মনে হচ্ছিলো সবটা যেন আমি একাই খেয়ে নেই।
চলবে?