ভূত বলতে আমার প্রচন্ড ভয়।ভূতের ভয়ে রাতে বাড়ি থেকে তেমন একটা বের হয় না প্রয়োজন ছাড়া।
তো একদিন খুব একটা দরকারী কাজে শহরে যেতে হলো বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিতে রাত হয়ে গেল।
বাড়িতে দ্রুত যেতে হলে মেঠো পথে যেতে হবে তাই আমি মেঠো পথ দিয়েই এগোতে থাকলাম।
আমাদের বাড়ি যেতে হলে একটা শ্মশান টপকে যেতে হয়।
শ্মশানের কাছে আসতেই বুকের মধ্যে ধড়ফড় করতে শুরু করল।
শুনেছি শ্মশান নাকি ভূতের আস্তনা।এসব কথা মনে পড়তেই শরীর একদম শীতল হয়ে গেল।
হাটবিট দ্বিগুণ বেড়ে গেল। শ্মশানের মাঝ বরাবর বড় একটা বট গাছ সেখানে আসতেই লক্ষ্য করি কেউ একজন সাদা কাপড় পরিহিত হাতে মাথার খুলির ন্যায় কিছু একটা নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
এত রাতে ভূত ছাড়া কিছুই এখানে থাকতে পারে না এটা ভেবেই আমার অবস্থা কাহিল হয়ে গেল।
তাহলে তো আজ ভূতটা আমার ঘাড় মটকাবে।
নিজেকে একটু আড়ালে রাখতে বটগাছের পিছে লুকিয়ে পড়লাম।
লুকিয়ে লক্ষ্য করলাম সাদা কাপড় পরিহিতা সেই অদ্ভুত লোকটি আমার প্রায় কাছে চলে এসেছে।
যতই কাছে আসছে ততই আমার হাটবিট বেডে যাচ্ছে।
সেই অদ্ভুত লোকটি আমাকে টপকে যেয়ে আবার পিছন ঘুরে আমার দিকে তাকালো। আমি তো ভয়ে শেষ।
লোকটি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল
- - কে রে ওখানে?
লোকটার কথার স্বর শুনে দেহে যেন প্রাণ ফিরে পেল।
এতো আমাদের রমিজ চাচার গলার আওয়াজ।তাই দ্রুত গাছের আড়াল থেকে বের হয়ে বললাম
- - চাচা আমি রাজ
- - এত রাতে এখানে কি?
- - শহর থেকে আসলাম চাচা।
তো চাচা আপনি এখানে এত রাতে কি করেন ভয়ের জায়গা
- - দুর পাগল এখানে ভয় আছে নাকি?
মনে মনে আমি বললাম শালা তোকে দেখে তো আমিই ভয়ে শেষ।
- - চাচা বললেন না কি জন্য এত রাতে এখানে এসেছেন?
- - আর বলিস নে বাবা ডারিয়া হয়েছে তো তাই বদনা হাতে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে একটু পেট পরিষ্কার করতে এলাম।
লও ঠেলা
(সমাপ্ত)
#রম্যগল্প
#গভীর_রাতে_একদিন
#রিয়াজ_আহম্মেদ
