#গোধুলি_আভা
#৩য়_পর্ব
ইচ্ছে মতো খাওয়া শেষ
আবার পুকুরপাড়ে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছিলাম।
তখন দেখি পূজা কাঠাল গাছের উপর বসে হাসছে।
বিকট একটা হাসি।
আমার আর বুঝার বাকি রইলো না।
সে কোনো মানুঝ নয়।
কাল রাতেই বুঝে গেছি সে মানুষ নয়।
একটা চিৎকার দিলাম।
পুকুরপাড়ের সবাই হাজির।
বললাম দেখো কাঠাল গাছে একটা মেয়ে।
আমি ছাড়া আর কেউ দেখলো না তাকে।
পূজা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
কি অবাক বিষয়
যেখানে আমার ভয়ে গুটি শুটি হওয়ার কথা।
সেখানে আমি ওর হাসিতে কেন জানি মুগ্ধ হচ্ছি।
এক পলকে তাকিয়ে আছি।
সবাই বলছে কি হলো
একজনের হাত হাতে রাখার স্পর্শে হুসে ফিরলাম।দেখি চাচি আমাকে বসে থাকা থেকে উঠাইলেন
বড় চাচি আমাকে রুমে নিয়ে গেলেন।
আর আমাকে বললেন এমন ভুল হতেই পারে তুমি চিন্তা করো না
সবাই বলল চোখের ভুল আমার।
আমি আর সেদিন ঘরের বাহিরে যাই নি।
রাতে খেয়ে বিছানায়
গেলাম বালিশ এর উপর দেখি ২টা জবা ফুল।
ভাবলাম কেউ রেখে দিছে হয়ত ফুল হাতে নিয়ে দেখি তাজা রক্ত।
ভয়ে শরীর হীম শীতল আমার।
পুজা দেখি বিছানার উপর বসে বলছে ও দিদি ফুল গুলা সুন্দর না বলো।
তোমার জন্য এনেছি।
এসব বলছে আর হাসছে।
সাথে সাথেই বেহুশ হয়ে যাই।
একটু পর নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলাম।
সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
একজন আমাকে পানি পড়া খাওয়ালো।
আর একটা তাবিজ দিয়ে বলল এটা গলায় পড়ে রাখো।
আমিও পড়লাম তার কথামত।
আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
চাচাতো বোন সাথে শুয়ে।
রাত আনুমানিক ৩টা বাজে।
একটা কচ কচ শব্দে আমার ঘুম ভাঙ্গলো।
বিছানায় তাকিয়ে দেখি পূজা আমার চাচাতো বোনের হাতের মাংস চিবিয়ে খাচ্ছে।
মুখে রক্ত বেয়ে পড়ছে।
এটা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি।
চিৎকার দিতে পারছি না ভয়ে।
পূজা আমার দিকে তাকিয়ে বলছে।
দিদি আমার না খুব মাংস খেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো।
এসব বলছে আর আমার দিকে আস্তে আস্তে আসছে।
আমি তার থেকে দূরে যাচ্ছি। এক সময় দৌড় দিলাম আমি বড় চাচির রুমে কড়া নাড়ছি।
চাচি দরজা খুলতেই দেখি পূজা চাচির পিছনে দাড়িয়ে হাসছে।
আমি চাচিকে জাপটে ধরি।
চাচিও আমাকে ধরে রুমে আনে।
ততক্ষনে আমি কাদছি।
আমি বলতে পারছিনা,কি হয়েছিলো।
সুধু বলতে পারলাম রু রুম রুমে কে দেখো চাচি।
সবাই গিয়ে দেখলো আমার চাচার মেয়ে সুস্থ ভাবে ঘুৃমাচ্ছে
তাকে ডেকে আমার সামনে আনলো।
তাহলে একটু আগে যে দেখলার পূজা তার গায়ের মাংস চিবিয়ে খাচ্ছে।
তাহলে আমি ভুল দেখলাম?